আজ (বাংলা) বৃহঃস্পতিবার ১১ই মাঘ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২৫ জানুয়ারি ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ, ১৩ রজব ১৪৪৫ হিজরি

শিরোনাম

Bottom Ads

রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল ভবনে আগুনে অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন

খুলনা–বাগেরহাট আসা–যাওয়ার পথে সুযোগ পেলে ভ্যাট্টেপাড়ায় (ভাটিয়াপাড়া) বিরতি নেওয়ার চেষ্টা করি। সেখানে এক প্রবীণ চা বিক্রেতা খুব আদর করে চা পরিবেশন করেন। চায়ের চেয়ে মন টানে তাঁর কথায়। কত খবর যে জমা থাকে তাঁর বুকে!! শুধু খেই ধরিয়ে দিলেই হলো। তিনিও জানতে চান, ‘কী ধান্দায় কোথায় মেলা করছি। কত দিনের সফর? ফেরার পথে রাত হবে কি না? তাড়া থাকলে একটা মিসড কল মাইরে দেবেন। সর (দুধের সর) উঠায়ে রাখব মালাই চা খাইয়ে যাবেন।’ এবার ফেরার পথে দেখি, সন্ধ্যার আগেই তাঁর দোকানের ঝাঁপ নামানো। খোঁজ নিতেই জানা গেল, তাদের গ্রামের একজন বিষ খেয়েছে, তাকে নিয়ে ছোটাছুটি চলছে। দোকান বন্ধ করে ছোটাছুটির দলের নেতৃত্ব দিতে গেছেন প্রবীণ চা বিক্রেতা। আমার মিসড কলের সূত্র ধরে রাত ১১টার দিকে ফোন করলেন প্রবীণ। তিনি তখনো রোগীর সঙ্গে মেডিকেলের পথে। ফোনে তিনি জানালেন, ‘আমরা পদ্মা সেতুতে। মালা (ছদ্মনাম), পড়াশোনা না করে মোবাইল হাতড়াইতে ছিল। তাই বাবায় তারে বকা দেয়। আর তাতেই রাগ করে মালা ঘাস মারার বিষ গিলে ফেলে। মুমূর্ষু মালাকে নিয়ে এখন যমে মানুষের টানাটানি চলছে। অবস্থা কেরোসিন (আশঙ্কাজনক)। কচি বেডিডা বাঁচবে কি না কওয়া যাচ্ছে না।’ মুরব্বি প্রবীণ সাধারণত মুখ খারাপ করেন না। এবার করলেন, ধমকও দিলেন। তাঁর বোধে আসে না আমরা কী ‘ফ্যালাইতাছি’। আবার তাড়া দিলেন ‘ধান্দাবাজি’ না করে মানুষ ও মানুষের সমস্যা নিয়ে লেখার জন্য। তিনি প্রথম আলোর একজন গুণমুগ্ধ কিন্তু ছেড়ে কথা না বলা পাঠক। প্রবীণের ধমক খেয়ে মনে পড়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নেফ্রোলজি বিভাগের ডা. মো. সাদ্দাত হোসেনের কথা। একটি জাতীয় দৈনিকে গত ১০ জুন ২০২৩ প্রকাশিত এক লেখায় তিনি বলেছিলেন,‘আগেও খেতে পোকামাকড় মারার বিষ (ইনসেক্টিসাইড) খেয়ে মানুষ আত্মহত্যা করার চেষ্টা করত। বিশ্বাস করুন, যারা পোকামাকড় মারার বিষ খেয়ে আসত, তারা যদি কোনো হাসপাতালে পৌঁছাতে পারত, তবে তাদের শতকরা ৯৯ ভাগ রোগী ভালো হয়ে যেত। কিন্তু এই ঘাস মারার বিষ খেয়ে যারাই ভর্তি হচ্ছে, এটা এতটাই বিষাক্ত যে ওদের কাউকেই বাঁচানো সম্ভব হচ্ছে না।’ তিনি মানবদেহে এই বিষের প্রতিক্রিয়া ব্যাখ্যা করতে গিয়ে লিখেছিলেন, ‘প্রথম দিকে এর প্রতিক্রিয়া তেমন অনুভূত হয় না। শুধু জিহ্বায় কিছু ঘা দেখা দেয়। এরপর আস্তে আস্তে অন্যান্য অঙ্গ বিকল হতে থাকে। প্রথমে কিডনি, তারপর লিভার, তারপর ফুসফুস। একপর্যায়ে এসে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। শেষ মুহূর্তে লাইভ সাপোর্ট দেওয়া লাগে। লাইভ সাপোর্ট দেওয়ার পরও রোগীকে বাঁচানো যায় না। কারণ, ফুসফুস আক্রান্ত হয়ে ফাইব্রোসিস হয়ে যায়, যা আর কোনো চিকিৎসাই ভালো করা যায় না।’ শুধু মানুষ নয় গবাদি প্রাণীও বেঘোরে মারা যাচ্ছে ঘাস মারা বিষের যথেচ্ছ ব্যবহারে গবাদি প্রাণীর মৃত্যু সংবাদের মর্যাদা হারিয়ে নিত্যদিনের ঘটনায় পরিণত হয়েছে। গত বছরের (২০২৩) সেপ্টেম্বরে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নের যুগীর ভিটা গ্রামে ছয়টি ছাগল ঘাস খেতে খেতে মারা যায়। কাউকে না জানিয়ে পুকুরের পাড়ে ঘাসে কীটনাশক ছিটিয়ে দিয়েছিলেন পুকুরের মালিক রিন্টু মিয়া। সেই ঘাস খেয়ে ছাগলগুলো মারা যায়। ঘাস খাওয়ার একপর্যায়ে ছাগলগুলো হঠাৎ নিস্তেজ হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন ছাগলগুলো বাড়িতে নিয়ে এলে চারটি ছাগল মারা যায়। আর দুটি ছাগল দ্রুত জবাই করা হয়। এর আগে ঝিনাইদহের শৈলকূপার ভুলুন্দিয়া গ্রাম থেকে বিষাক্ত ঘাস খেয়ে গরু মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটে। শুধু ভুলুন্দিয়া গ্রাম নয়, দিন পনরোর ব্যবধানে পার্শ্ববর্তী কয়েক গ্রাম মিলে কমপক্ষে ১২টি গরু মারা যায়।
Bottom Ads

এই ক্যাটাগরিতে আরও পড়ুন :

জাতির পিতার উদ্যোগের ফলে এবং তার নেতৃত্বে ভাষা আন্দোলনের পথ বেয়ে আমরা আমাদের স্বাধিকার পেয়েছি, স্বাধীনতা পেয়েছি

২২শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২

জাতির পিতার উদ্যোগের ফলে এবং তার নেতৃত্বে ভাষা আন্দোলনের পথ বেয়ে আমরা আমাদের স্বাধিকার পেয়েছি, স্বাধীনতা পেয়েছি

২২শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২

জাতির পিতার উদ্যোগের ফলে এবং তার নেতৃত্বে ভাষা আন্দোলনের পথ বেয়ে আমরা আমাদের স্বাধিকার পেয়েছি, স্বাধীনতা পেয়েছি

২২শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২

জাতির পিতার উদ্যোগের ফলে এবং তার নেতৃত্বে ভাষা আন্দোলনের পথ বেয়ে আমরা আমাদের স্বাধিকার পেয়েছি, স্বাধীনতা পেয়েছি

২২শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২

জাতির পিতার উদ্যোগের ফলে এবং তার নেতৃত্বে ভাষা আন্দোলনের পথ বেয়ে আমরা আমাদের স্বাধিকার পেয়েছি, স্বাধীনতা পেয়েছি

২২শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২